পিএইচই ট‍্যাঙ্কের দাবী এলাকাবাসীদের : জলের সমস‍্যা এলাকায়

25th July 2021 9:57 am বাঁকুড়া
পিএইচই ট‍্যাঙ্কের দাবী এলাকাবাসীদের : জলের সমস‍্যা এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  জলের অপচয় রোধে পিএইচই ট্যাঙ্কের দাবি পাত্রসায়েরের গ্রামবাসীদের ! তাদের আশ্বস্ত করলেন পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক । 

একদিকে  বর্ষার জলে প্লাবিত চাষের জমি অন্যদিকে জলের আধার থেকে পানীয় জলের অপচয়ে ভবিষ্যতে জলসঙ্কটের সিঁদুরে মেঘ । এমনই দ্বিমুখী সমস্যার চিত্র ধরা পড়ল বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের চর গোবিন্দপুর, পাঁচপাড়া , গোবিন্দপুর তেলসাড়া , ঘোড়াডাঙ্গা সহ একাধিক গ্রামে, যেখানে নিত্য ব্যবহারের পাশাপাশি পানীয় জলের অপচয় একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় জলসঙ্কট মেটাতে বেশ কিছু সাবমার্সিবল করা হলেও গ্রামীন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা খারাপ হওয়ায় সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের । পাশাপাশি, গ্রীষ্মকালে এলাকার টিউবওয়েল সহ বিভিন্ন জলের আধার থেকেও পড়েনা জল । আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, অসময়ে সাবমার্সিবল থেকে অনর্গল জল বেরিয়ে হচ্ছে জলের অপচয়। এমন অবস্থায় কিছু গ্রামবাসী ভবিষ্যতে জলস্তর নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন । আর এই সংকট মোচনে এবার তারা সরকারের কাছে এই পিএইচই ট্যাঙ্কের দাবি জানাচ্ছেন । তাদের দাবি, এই পিএইচ ই ট্যাঙ্কটি হলে হয়তো এই অপচয় সমস্যা থেকে মিলবে রেহাই । যদিও ভাই এখনো পর্যন্ত পাত্রসায়ের ব্লক তথা নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটিও পিএইচ ই জলের ট্যাঙ্ক নেই ।

এই বিষয়ে পাত্রসায়ের ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নিবিড় মন্ডল গ্রামবাসীদের আশ্বাস জানিয়ে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই গ্রামে ব্যবস্থা করা হবে একটি পিএইচই ট্যাঙ্কের ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।